
নিয়মিত চুলের পরিচর্যা করতে থাকলে উজ্জ্বল ও সিল্কি চুল পেতে বেশী সময় লাগবে না আপনার। রুক্ষ ভাব দূর করতে চাইলে যা করতে পারেন তা হল-
শ্যাম্পু নির্বাচনে সতর্ক হউনঃ
প্রতিদিন শ্যাম্পু করা চুলের রুক্ষভাবের জন্য দায়ী। চুল পরিষ্কার রাখা অবশ্যই জরুরী তবে এর জন্য প্রতিদিন অথবা দিনে একের অধিকবার শ্যাম্পু করা ঠিক নয়। কারণ শ্যাম্পুতে এমন কিছু ক্লিনিং এজেন্ট থাকে যা চুলের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয় ও চুলে তেলের স্বাভাবিক পরিমাণ কমিয়ে দেয় যা চুলের আদ্রতা বজায় রাখে। তাই প্রতিদিন শ্যাম্পু না করে দুই দিন পর পর শ্যাম্পু করার অভ্যাস করুন । প্রত্যেকবার শ্যাম্পু দেয়ার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। লক্ষ্য রাখবেন শ্যাম্পু যেন স্কাল্পে (চুলসমেত ত্বক) লাগে। শ্যাম্পু নির্বাচনে PH এর পরিমাণ লক্ষ্য করুন। শুষ্ক চুলের জন্য শ্যাম্পু তে PH এর পরিমাণ ৪.৫-৬.৭ থাকা অনুচিত। PH এর পরিমাণ শ্যাম্পুর বোতলের পিছনে দেয়া থাকে। অনেকে বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করেন এটা ভেবে যে বেবি শ্যাম্পু চুলের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু বেবি শ্যাম্পুতে PH এর পরিমাণ থাকে অত্যধিক যা শুষ্ক চুলের জন্য খুব ক্ষতিকর। কারণ বেবি শ্যাম্পু তে ক্ষারের পরিমাণ বেশী থাকে। যেসব শ্যাম্পু অম্লীয় সেসব শ্যাম্পু শুষ্ক চুলের জন্য খুব ভালো।
কন্ডিশনার নির্বাচনে সতর্ক হউনঃ
এমন কন্ডিশনার বাছাই করুন যাতে এলকোহল এর পরিমাণ অল্প বা শুন্য। এলকোহল যুক্ত কন্ডিশনার চুলের রুক্ষভাব বাড়িয়ে দেয়। আপনার প্রডাক্ট এ এলকোবল আছে কি জানার না জানার জন্য বোতলের পিছনের লেবেল পড়ে দেখুন। লেবেল পড়ে যদি বুঝতে না পারেন তাহলে কন্ডিশনার এর গন্ধ শুকেও বুঝতে পারবেন এতে এলকোহল এর পরিমাণ কেমন। যেসব কন্ডিশনার এর গন্ধ মৃদু সেগুলোতে এলকোহল কম থাকে।
চুল আঁচড়ানোর সময় সাবধান হউনঃ
শুষ্ক চুল খুব সাবধানে আঁচড়াতে হয়। কারণ শুষ্ক চুলে খুব সহজেই জট বেঁধে যায় এই কারণে আঁচড়াতে গেলে চুলের ডগা ফেঁটে যায় ও চুল পড়ে যায়। তাই চুল আস্তে আঁচড়াবেন ও স্নান করার পর চুল ভেজা থাকা অবস্থায় চুল আস্তে আঁচড়িয়ে জট খুলে নেবেন। প্রয়োজনে চুলে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করবেন। লিভন ( Livon ) একটি কার্যকরী সিরাম। সময় পেলে চুলে বিলি কেটে নিবেন আঙ্গুল দিয়ে। এটি চুলের জন্য উপকারী। বিলি কাটলে চুলের তেলগ্রন্থি ভালো কাজ করে।
গরম তেল ব্যবহার করুনঃ
হেয়ার এক্সপার্টরা চুলের রুক্ষভাব দূরীকরনের জন্য হট-অয়েল ট্রিটমেন্ট এর কথা বলেন। হট-অয়েল ট্রিটমেন্ট চাইলে বাসায়ই করতে পারবেন। এর জন্য তেল হাল্কা গরম করে চুলে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর তোয়ালে গরম পানি তে ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। এরপর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সঠিক চিরুনী নির্বাচন করুনঃ
চুল এমন চিরুনী দিয়ে আঁচড়াবেন যার ডগা নরম হবে। যেসব চিরুনীর ডগা একটু বাঁকানো সেগুলো চুল আঁচড়ানোর জন্য ভালো।
ভিনেগার ব্যবহার করুনঃ
ভিনেগার চুলের উজ্জ্বলতা বাঁড়াতে ও চুলের রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি চুল ক্লিনসিং এর কাজ ও করে। চুল ধোয়ার সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এরপর সেই ভিনেগার মিশ্রিত পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ভিনেগার খুশকি দূরীকরণেও সাবায্য করে। সপ্তাহে ৪ দিন ভিনেগার নিয়ে স্কাল্পে ১০ মিনিট মেসেজ করুন ও পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য ডিমের ব্যবহার করুনঃ
কুসুম গরম পানিতে ডিম ভালো মত ফাটিয়ে সেটি স্কাল্পে (চুল সব) লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এর পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ৩ কি ডিম, ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল ( Olive Oil ), ১ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে চুলে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।এটি ডিপ কন্ডিশনিং এর কাজ করবে। ৩০ মিনিট পর চুলে শ্যাম্পু করে ফেলুন ।
শীত কাল এসেছে। এই শীতের প্রভাব আমাদের শরীরে ইতোমধ্যে পড়তে ধরেছে। শীতকালে ঠোঁটের সমস্যায় পড়ে নি, এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন। শীতে বাতাসের আদ্রর্তা কম থাকে বলে আমাদের ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে ঠোঁট ফাটা, ঠোঁটের চামড়া ওঠা, ঠোঁট কালো হওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় ঠোঁটের সঠিক যত্ন নিতে হয়। চলুন শীতে ঠোঁটের যত্ন নিবো কিভাবে তার কিছু টিপস জেনে নেই-
প্রথমে আমি যেটির কথা বলবো সেটা হল ঠোঁটের স্ক্রাবিং। ঠোঁটে ডেড সেল বা মৃত কোষ এর কারনে ঠোঁট অনুজ্জ্বল দেখায়। তাই ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার জন্য স্ক্রাবিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে স্ক্রাবিং এর জন্য সম পরিমাণ লেবুর রস এবং মধু নিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে ঠোঁটে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন।এরপর আধা চামুচ চিনি হাতের আঙুলে নিয়ে ঠোঁটে আলতো ভাবে ঘষুন।স্ক্রাবিং এর জন্য আপনি ঠোঁটে পুরু করে ভেসলিন লাগিয়ে চিনি দিয়ে আলতো ভাবে ঘুষে ঠোঁটের মৃত কোষ তুলতে পারেন।এছাড়াও টুথপেষ্ট ঠোঁটে লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে আলতো ভাবে ঘুষলেও ঠোঁটের মরা চামড়া ওঠে যায়।
ঠোঁটের স্ক্রাবিং এর পর অবশ্যই ঠোঁটের আদ্রর্তা বজায় রাখার জন্য ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার করতে হবে। সেক্ষেত্রে লিপজেল, ভেসলিন, পমেড অথবা পেট্রলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে।
ঠোঁটের শুষ্কতা ঢাকার জন্য অনেকে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর চেষ্টা করে। এটা খুব বাজে অভ্যাস । এতে ঠোঁটের শুষ্কতা বেড়ে যায় এবং ঠোঁট ফেটে যায়।ঠোঁটের মরা চামড়া কোন ভাবেই টেনে উঠানো যাবে না। এতে ঠোঁট দিয়ে রক্ত পড়বে।
লিপস্টিক ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। শীতে ম্যাট লিপস্টিক এড়িয়ে চলতে হবে। ভিটামিন ই যুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। কম দামি প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন …
ঋতু পরিবর্তনে শুরু হয়েছে ত্বকের নানা সমস্যা। এ সময় বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক হয়ে উঠে বেশি রুক্ষ ও অনুজ্জ্বল। তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দরকার একটু বাড়তি যত্নের। নিয়মিত যত্নে শীতেও তৈলাক্ত ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল।
ভালোভাবে মেকআপ পরিষ্কার:
ঘুমের আগে অবশ্যই ভালোভাবে মেকআপ পরিষ্কার করুন। এ ক্ষেত্রে একটি হালকা ফেসওয়াস ব্যবহার করে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
আপনার ত্বক তৈলাক্ত, তার মানে এই নয় যে শীতের দিনেও ত্বকে তেলতেলে থাকবে। তৈলাক্ত ত্বকও রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, যদি আপনি এ সময় সঠিক উপায়ে যত্ন না নেন।
ফেসওয়াশ
যে ফেসওয়াশটি আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই, সেটিই ব্যবহার করুন। প্রতিদিন অন্তত দুবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার চেষ্টা করুন। তবে ব্রণরোধী ফেসওয়াশ এ সময় ব্যবহার করবেন না। এতে আপনার ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
স্ক্রাবিং
শীতের সময় অবশ্যই ত্বকের মরা কোষ দূর করতে হবে। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন ত্বকে স্ক্রাবিং করুন। এতে ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর হয়ে ত্বক হবে নরম ও মসৃণ।
টোনার
ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখতে নিয়মিত টোনার ব্যবহার করুন। এটি আপনার ত্বককে সব সময় সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখবে। আর শীতের সময় তৈলাক্ত ত্বকের কোষের মুখ বড় হয়ে যায়। এর ফলে ময়লা বেশি জমে। এ ক্ষেত্রে টোনার আপনার ত্বকের কোষের মুখ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে।
ময়েশ্চারাইজার
আপনার ত্বক তৈলাক্ত হলেও শীতের সময় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা খুবই জরুরি। এই উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই জেল বা ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ফেস অয়েল
ত্বকের জন্য কিছু এসেনশিয়াল অয়েল আছে, যা ত্বককে তৈলাক্ত না করে নরম ও মসৃণ রাখে। এ ছাড়া এটি ত্বকের স্বাভাবিক তেল নিঃসরণেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন গোসলের পর মুখে ফেস অয়েল ব্যবহার করুন।
সানস্ক্রিন
শীতের সময় আপনাকে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তবে সানস্ক্রিনের এসপিএফের মাত্রা যেন ৩০ বা তার ওপরে হয়। এটি দীর্ঘ সময় আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করবে।
হালকা গরম পানি ব্যবহার:
ত্বক ধোয়ার ক্ষেত্রে সবসময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে কোনো ক্ষতি হওয়া ছাড়াই ত্বকের ময়লা ভালোভাবে পরিষ্কার হবে। এতে ত্বক স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর থাকবে।
ত্বক আর্দ্র রাখুন:
ত্বক আর্দ্র রাখার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। ফল খান। ত্বক যেন পানিশূন্য না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। পানিশূন্যতা ত্বকের ক্ষতি করে। ভালো থাকবেন ।
Health & Beauty
Tailored for you
What we offer
795 Folsom Ave, Suite 600,
San Francisco, CA 94107
Copyright ©http://glowtouchspa.com